মো: শামসুর রহমান হৃদয়, গাইবান্ধা: ২০১৬ সনের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে মিথ্যা গুজব রটিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে এবং হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক, শিল্পভিত্তিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ।

রবিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় প্রেসক্লাব গাইবান্ধায় সংগঠনটির সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদ হাসান মুকুলের সঞ্চালনায় জোড়া খুনের বিচারসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন হেযবুত তওহীদের গাইবান্ধা জেলা সভাপতি মো: আরিফুল ইসলাম ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “গত ২৬ বছরে একটি ধর্মব্যবসায়ী উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর ৪০০ বারেরও বেশি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পৈশাচিক হামলাটি হয় ২০১৬ সালের ১৪ই মার্চ। সেদিন হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে নির্মাণাধীন মসজিদকে গির্জা বলে গুজব রটিয়ে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে। দিনভর চলে হামলা, জ্বালাও পোড়াও, রক্তপাত ও হত্যাকান্ড হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে হত্যা করে পেট্রোল ঢেলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হত্যাকান্ডের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের বিচার হয়নি। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকা বহু আসামী স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর আশ্রয়ে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। আর সেই সুযোগ নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও কুচক্রী মহল পুনরায় হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে হামলার ষড়যন্ত্র করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে হামলার সাথে জড়িত সকল হামলাকারীর দৃষ্টান্তনীয় বিচার নিশ্চিত করা। বর্তমানে যারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হ্যান্ডবিল বিতরণ করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা। হেযবুত তওহীদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ওয়াজ মাহফিলগুলোতে যারা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার চালাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা। হামলার হুমকির মুখে থাকা হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িঘর, কৃষি প্রকল্প, কার্যালয় ও ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, মাদক, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে হেযবুত তওহীদের অনুষ্ঠানগুলোর যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান করা। হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে যারা অনলাইনে হত্যার হুমকি, ছবিবিকৃতিসহ নানাবিধ সাইবার ক্রাইম করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবিসহ মোট ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনটি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির গাইবান্ধা জেলা কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন শিরল, রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জুলহাস হোসেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রিপন হাসান, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ লিটন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন খান ওপেল, ফুলছড়ি উপজেলা সভাপতি মোঃ মাহাবুর রহমান, সাঘাটা উপজেলা সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেনসহ আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।